ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১

বুক বিল্ডিংয়ে উচ্চ প্রিমিয়াম নেওয়া কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশে বেহাল দশা

২০২৩ ডিসেম্বর ০৩ ১১:৩১:৪৮
বুক বিল্ডিংয়ে উচ্চ প্রিমিয়াম নেওয়া কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশে বেহাল দশা

অনেক স্বপ্ন দেখিয়ে শেয়ারবাজারে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রতিটি শেয়ার ৭৫ টাকা করে ইস্যু করে রানার অটোমোবাইলস। এমন উচ্চ ইস্যু মূল্যের কোম্পানিটির পর্ষদ ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যবসায় কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। যে কোম্পানিটির ওই অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি (৭.৭৫) টাকা করে লোকসান হয়েছে।

বুক বিল্ডিংয়ে আসা কোম্পানিগুলো কাট-অফ প্রাইস অতিমূল্যায়িত করার জন্য ইস্যু ম্যানেজারের সহযোগিতায় কারসাজি করেছে, সে অভিযোগ অনেক আছে। এছাড়া শেয়ারবাজারে আসার আগে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অতিরঞ্জিত করে মুনাফা দেখানোর অভিযোগ আরও পুরোনো। এরমাধ্যমে অনেক কোম্পানি উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করে টাকা তুলে নিয়েছে। যাতে করে তালিকাভুক্তির পরে শেয়ারহোল্ডারদেরকে দিতে পারছে না সঠিক লভ্যাংশ। এছাড়া কমে এসেছে মুনাফার পরিমাণ। একইসঙ্গে অর্ধেক কোম্পানির শেয়ার দর কাট-অফ প্রাইসের নিচে চলে এসেছে।

দেখা গেছে, ২০১৫ সালে সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলস চালুর পরে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ১৬টি কোম্পানি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রিমিয়ামে অর্থ সংগ্রহ করেছে। ওই কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৫টি (এনার্জিপ্যাক এখনো লভ্যাংশ সভা করেনি) কাট-অফ প্রাইসের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যবসায় ৩.৮৭ শতাংশ করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজকে বাদ দিলে, এই লভ্যাংশের হার অনেক কম।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রিমিয়াম নেওয়া কোম্পানি থেকেও যদি বিনিয়োগকারীরা অভিহিত মূল্যের কোম্পানির মতো লভ্যাংশ পায়, তাহলে বুক বিল্ডিংয়ে শেয়ারবাজারে আসার দরকার কি? যদি প্রিমিয়ামের বিপরীতে রিটার্ন নাই আসে, তাহলে শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যের কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেওয়াই শ্রেয়। তবে ইস্যু মূল্যের লভ্যাংশের উপরে ক্যাটাগরি নির্ধারনে সুফল আসতে পারে বলে মনে করেন তারা।

ব্যবসায়িক পারফরমেন্স ভালো দেখিয়ে গত ৮ বছরে বুক বিল্ডিংয়ে ১৬টি কোম্পানি প্রিমিয়াম নিয়ে তালিকাভুক্ত হয়েছে। ওই কোম্পানিগুলো গড়ে ৬৮.২৭ টাকা (এনার্জিপ্যাক ছাড়া) করে প্রতিটি শেয়ার ইস্যু করেছে। এর বিপরীতে কোম্পানিগুলো গড়ে শেয়ারপ্রতি ৩.৬৭ টাকা বা ৩.৮৭ শতাংশ হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন অর্থ বাণিজ্যকে বলেন, সব ধরনের কোম্পানির লভ্যাংশে অভিহিত মূল্য বিবেচনায় নেওয়ায়, প্রিমিয়াম নেওয়া কোম্পানিগুলোর প্রকৃত চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে না। ইস্যু মূল্য বিবেচনায় ক্যাটাগরি নির্ধারন করা হলে, প্রিমিয়াম নেওয়া কোম্পানিগুলোর জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরি ধরে রাখা কঠিন হবে। তবে প্রিমিয়াম নেওয়া কিছু কোম্পানির মধ্যে ক্যাটাগরি ধরে রাখার জন্য লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়বে।

নিম্নে ২০১৫ সালের পাবলিক ইস্যু রুলসের অধীনে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রিমিয়ামে শেয়ারবাজারে আসা কোম্পানিগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরা হল-

*এস্কয়ার নিট, আমান কটন ও ইনডেক্স অ্যাগ্রোর পর্ষদ শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

উল্লেখ্য বুক বিল্ডিংয়ের আরেক কোম্পানি এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের এখনো লভ্যাংশ সভা হয়নি।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে