ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এফডিআর করতে সিকদার ইন্স্যুরেন্সের আইপিও আবেদন শুরু ২১ ডিসেম্বর

২০২৩ ডিসেম্বর ১৪ ১০:০৮:৫৯
এফডিআর করতে সিকদার ইন্স্যুরেন্সের আইপিও আবেদন শুরু ২১ ডিসেম্বর

বাংলাদেশের শেয়ারবাজার কিছুদিন পরপর তারল্য বা নগদ অর্থের সংকটে পড়ে। যা সমাধানে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কাজ করতে হয়। সেই তারল্য সংকটের শেয়ারবাজার থেকেই এফডিআর করার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে যাচ্ছে সিকদার ইন্স্যুরেন্স। এলক্ষ্যে আগামি ২১ ডিসেম্বর আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। যা চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বীমা কোম্পানিগুলোর পেশাদারিত্বে (প্রফেশনালিজম) অনেক ঘাটতি রয়েছে। তারা অর্থের সঠিক ব্যবহার করতে পারে না। এছাড়া বর্তমানে শেয়ারবাজারে তারল্য সংকট রয়েছে। সেখানে এফডিআর করতে শেয়ারবাজারের চলমান মন্দাবস্থায় বীমা কোম্পানির অর্থ উত্তোলন কতটা সঠিক হবে, তা বোধগম্য নয়। বরং আমি হলে এফডিআর ভেঙ্গে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার জন্য বলতাম। এখন অনেক কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগ করার মতো অবস্থায় রয়েছে।

আরও পড়ুন.....ন্যাশনাল ব্যাংক ধ্বংস করে আনছে সিকদার ইন্স্যুরেন্স

চলমান তারল্য সংকটের মধ্যেই অযৌক্তিক কারনে শেয়ারবাজার থেকে সিকদার ইন্স্যুরেন্স ১৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। যে কোম্পানির শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তিতে উপকার নেই। বরং তারল্য সংকটের সৃষ্টি করবে। বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই যেখানে বিনিয়োগ করতে পারে, সেখানে সিকদার ইন্স্যুরেন্স বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বড় অংশ ব্যাংকে এফডিআর করবে। আর কিছু অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবে। যা বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই করতে সক্ষম। এছাড়া সিকদার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের রেকর্ড ভালো না।

কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে টাকা নিয়ে ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগ করবে ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়া ৪ কোটি টাকা এফডিআর ও ৬ কোটি ৯ লাখ টাকা দিয়ে ফ্লোর কিনবে। বাকি ১ কোটি ১১ লাখ টাকা আইপিওতে ব্যয় হবে। অথচ এই কোম্পানির হাতেই ১৯ কোটি ৪ লাখ টাকা নগদ রয়েছে। এরমধ্যে ১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার এফডিআর রয়েছে।

সিকদার ইন্স্যুরেন্সকে শেয়ার ব্যবসায় ভালো বলা যায় না। এই কোম্পানিটি থেকে শেয়ারবাজারে ১০৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১০৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকাই বিনিয়োগ করা হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ন্যাশনাল ব্যাংকে। এই ব্যাংক ও বীমা কোম্পানিটি এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করে রায়েরবাজারের সিকদার পরিবার।

এই অবস্থায় কোম্পানিটিকে আইপিওর শর্ত থেকে অব্যাহতি বা ছাড় দিয়ে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাবলিক ইস্যু বিধিমালা ২০১৫ এর বিধি ৩(৩)সি পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে