ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মজুদ পণ্য নষ্ট ১৬ কোটি টাকার : গ্রাহকদের থেকে আদায় হবে না ৯ কোটি

২০২৩ ডিসেম্বর ১৭ ১০:০৮:২৯
মজুদ পণ্য নষ্ট ১৬ কোটি টাকার : গ্রাহকদের থেকে আদায় হবে না ৯ কোটি

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অলিম্পিক এক্সেসরিজ বেশ কয়েক বছর ধরে ধুঁকে ধুঁকে চলছে। ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে লোকসানে থাকা এ কোম্পানিটিতে বন্ধ রয়েছে লভ্যাংশ দেওয়া। এরমধ্যে আবার কোম্পানিটির প্রায় ১৬ কোটি টাকার মজুদ পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া যার তার কাছে পণ্য বিক্রি করায়, আদায় হবে না ৯ কোটি টাকার বেশি।

২০২২-২৩ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ক্রেতা বা গ্রাহক ক্রয়াদেশ বাতিলে অলিম্পিক এক্সেসরিজের ১৫ কোটি ৮১ লাখ টাকার মজুদ পণ্য নষ্ট হয়েছে। এরমধ্যে কাঁচামাল ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার এবং বিক্রিযোগ্য পণ্য বা ফিনিশড গুডস ১২ কোটি ২১ লাখ টাকার।

এদিকে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের যাচাই-বাছাই ছাড়া পণ্য বিক্রি করায়ও লোকসান গুণতে হচ্ছে অলিম্পিক এক্সেসরিজকে। এখন কোম্পানিটিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা আদায় হবে না বলে প্রভিশনিং গঠন করতে হয়েছে। যা কোম্পানিটির লোকসান বাড়িয়েছে।

আরও পড়ুন......খান ব্রাদার্সের কারখানায় অন্য কোম্পানির উৎপাদন

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, অলিম্পিক এক্সেসরিজের কাছে ৩৭ লাখ টাকার অবণ্টিত লভ্যাংশ রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রেখেছে। যা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনার ব্যত্যয়।

২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া অলিম্পিক এক্সেসরিজের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৬৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদদের মালিকানা ৭৪.১৯ শতাংশ। কোম্পানিটির শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকায়।

যে শেয়ারটির দর গত ৩০ নভেম্বর ছিল ১১.৫০ টাকায়। যেখান থেকে ১০ কার্যদিবসের ব্যবধানে ১৪ ডিসেম্বর ১৯ টাকায় উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৫০ টাকা বা ৬৫ শতাংশ। যার পেছনে কোন যৌক্তিক কারণ খুঁজে পায়নি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে