ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

ফ্লোর প্রত্যাহার : ৬ মিনিটেই নাই ২১৪ পয়েন্ট

২০২৪ জানুয়ারি ২১ ১০:৩৬:৫৯
ফ্লোর প্রত্যাহার : ৬ মিনিটেই নাই ২১৪ পয়েন্ট

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পরে প্রথম কার্যদিবস রবিবার (২১ জানুয়ারি ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। এদিন লেনদেনে ৬ মিনিটের মাথায় ২১৪ পয়েন্ট কমেছে। তবে ধীরে ধীরে এ পতনের পরিমাণ কমে আসছে।

এদিন সকাল ১০টা ০৬ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১৪ পয়েন্ট কমে ৬১২২ পয়েন্ট নেমে আসে। ওইসময় ২৭১টি কোম্পানির দর পতন হয়। দর বাড়ে মাত্র ৭টির। আর লেনদেন হয় ৩১ কোটি ১৬ লাখ টাকার।

তবে সময়ের সাথে সাথে সূচকের পতন কমে আসছে। সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে সূচকের পতন কমে এসেছে ১৬৮ পয়েন্টে। তবে দর পতনে কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১৫টি। আর দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা ৭টি থেকে বেড়ে ১৪টি হয়েছে।

বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি, রবিবার থেকে ফ্লোর উঠে গেছে। তবে ৩৫টি বড় মূলধনী কোম্পানি ও গেম্বলিং আইটেমে ফ্লোর থাকবে। এরমধ্যে বড় মূলধনী দর পতনে সূচকে বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে এমনটি করা হয়েছে। আর গেম্বলারদের স্বার্থ রক্ষায় সোনালি পেপার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের মতো কিছু কোম্পানিতে ফ্লোর বহাল রাখা হয়েছে।

শেয়ারবাজারে লাগাতার পতন ঠেকাতে না পেরে, গত চার বছরে কয়েক দফায় শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। প্রথমবার ২০২০ সালে মার্চে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলেও তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের জুলাইয়ে। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এ পর্যায়ে শেয়ার লেনদেন ব্যাপক কমে গেলে সমালোচনায় পড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

কমিশনের ওই ফ্লোর প্রাইসের ভুল সিদ্ধান্তের কারনে অনেক কোম্পানির দর যোগ্যতা অনুযায়ি কমেনি। যা কৃত্রিমভাবে ধরে রাখা হয়েছিল। ফলে ওইসব শেয়ারে বিক্রেতা ছিল, কোন ক্রেতা ছিল না। এখন ফ্লোর তুলে দেওয়ায় সেগুলোর দর পতন হবে স্বাভাবিক। এ কারনেই ফ্লোর প্রাইসে থাকা কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উৎকন্ঠা।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে