ঢাকা, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

মুন্নু ফেব্রিক্সে ২৭ কোটি টাকার গরমিল

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১২ ১০:০৫:২৩
মুন্নু ফেব্রিক্সে ২৭ কোটি টাকার গরমিল

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মুন্নু ফেব্রিক্স কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া সম্পত্তি দেখিয়ে আসছে। যার পরিমাণ ২৭ কোটি টাকারও বেশি। এর মাধ্যমে প্রতারণা করছে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে।

কোম্পানিটির ২০২২-২৩ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে এ তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, মুন্নু ফেব্রিক্স কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে নগদ প্রণোদনা (ক্যাশ ইনসেনটিভ) পাওয়া যাবে বলে আর্থিক হিসাবে ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়ে আসছে। কিন্তু ওই প্রণোদনার বিস্তারিত তথ্য, বছরভিত্তিক প্রণোদনার পরিমাণ ও সত্যতা যাচাইয়ের মতো কোন ডকুমেন্টস পায়নি নিরীক্ষক।

এদিকে কয়েক বছর ধরে সরকারের কাছ থেকে আয়কর ফেরত পাওয়া যাবে বলে হিসাবে ১ কোটি ১২ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়ে আসছে মুন্নু ফেব্রিক্স কর্তৃপক্ষ। এই সম্পদেরও কোন বিস্তারিত তথ্য ও সত্যতা যাচাইয়ের মতো কোন ডকুমেন্টস নেই।

আরও পড়ুন.....

মুন্নু সিরামিকেও নয়-ছয়

একইভাবে কয়েক বছর ধরে সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসাবে ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়ে আসছে মুন্নু ফেব্রিক্স। যার মধ্যে ২৫ লাখ টাকার কোন ডকুমেন্টস নেই। এছাড়া আর্থিক হিসাবে দেখানো ৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার অগ্রিম লীজ প্রিমিয়ামের কোন ডকুমেন্টস পায়নি নিরীক্ষক।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ রেগুলেশনস ২০১৫ এর ধারা ২৮(১) অনুযায়ি তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ একটি পৃথক ব্যাংক হিসাবে জমা রাখতে হবে। কিন্তু মুন্নু ফেব্রিক্সে ১৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার অবন্টিত লভ্যাংশ বা শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশবাবদ পাওনা থাকলেও এ সংক্রান্ত ব্যাংক হিসাবে রয়েছে মাত্র ৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মুন্নু ফেব্রিক্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১১৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৫৯.৩২ শতাংশ। কোম্পানিটির রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২১.৭০ টাকায়।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে