ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আবারো ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে সূচক

বলেছিলেন সূচক যাবে ১০ হাজারে : নামছে ৫ হাজারের দিকে

২০২৪ এপ্রিল ২৪ ১৪:২৯:০৯
বলেছিলেন সূচক যাবে ১০ হাজারে : নামছে ৫ হাজারের দিকে

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দায়িত্ব নেওয়ার পরে বর্তমান কমিশন দেশের শেয়ারবাজার নিয়ে অনেক আশার বাণী শুনিয়েছিল। যেখানে সূচক ১০ হাজারে যাবে এবং লেনদেন ছাড়াবে ৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু দেশের শেয়ারবাজার এখন ৫ হাজার সূচকের পথে ধাবিত। আর লেনদেন ৫০০ কোটির কাছে।

২০২২ সালের ২২ মে একাত্তর টিভিকে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছিলেন, আগামি ২ বছরের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ হাজার পয়েন্টে যাবে। এছাড়া তার কমিশন বিভিন্ন সময় ডিএসইর লেনদেন ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে বলে আশার বাণী শুনিয়েছে। সেই ২ বছর শেষের পথে।

কিন্তু শেয়ারবাজার উল্টোপথে। ভুল প্রমাণিত হয়েছে কমিশনের আশার বাণী। দেখিয়েছেন ব্যর্থতার পরিচয়। বরং সূচক তাদের প্রত্যাশার অর্ধেকের পথে ধাবিত।

গত কয়েকদিন ধরে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক টানা ও ভয়াবহ পতনে রয়েছে। এরমধ্যে বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশের শেয়ারবাজারে ৫৫ পয়েন্টের বড় পতন হয়েছে। এমন পতনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমেছে।

শেয়ারবাজারের এমন পতনে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা। যারা চোখেমূখে অন্ধকার দেখছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছাড়তে শুরু করেছেন। নিয়মিত সিকিউরিটিজ শুন্য হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের হাজার হাজার পোর্টফোলিও। কমিশনের ব্যর্থতার প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

আরও পড়ুন......

জেনেক্স কারসাজিতে হিরু গ্যাংদের মুনাফা ২.৮২ কোটি টাকা : জরিমানা ২০ লাখ

বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫৭৯ পয়েন্টে। বুধবারের এমন পতনে ডিএসইএক্স সূচকটি ২০২১ সালের ৫ মে’র মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমে গেছে। অর্থাৎ আজকের সূচকটি বিগত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ৪ মে সূচকটি আজকের তুলনায় কম ছিল। ওইদিন ডিএসইএক্স ছিল ৫৫৩৫ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে ৬০২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন হয়েছিল ৫৯৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৫ কোটি ১৯ লাখ টাকার বা ১ শতাংশ।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৪ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭৯ টি বা ২০.০৫ শতাংশের। আর দর কমেছে ২৭৪ টি বা ৬৯.৫৪ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৪১ টি বা ১০.৪১ শতাংশের।

অপরদিকে সিএসইতে বুধবার ২৬ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২২৭ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪১ টির, কমেছে ১৬৬ টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২০ টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭৪ পয়েন্ট কমে দাঁডিয়েছে ১৫৯৮০ পয়েন্টে।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে