ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের সাবসিডিয়ারিতে ২৮.৫৯ কোটি টাকা বিনিয়োগে অনিয়ম

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স থেকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে ২৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বিনিয়োগে অনিয়ম উঠে এসেছে। যে কোম্পানিটিতে শ্রম আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।

কোম্পানিটির ২০২৩ সালে নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাবে নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, বীমা কোম্পানিটি থেকে সাবসিডিয়ারিতে ২৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১ কোটি টাকা শেয়ার ক্যাপিটাল এবং বাকি ২৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা প্রিমিয়াম। কিন্তু এক্ষেত্রে সুনামকে (গুডউইল) যেমন বিবেচনা করা হয়নি, একইভাবে সম্পদ পূণ:মূল্যায়ন করা হয়নি। এর মাধ্যমে আর্থিক হিসাবে সম্পদ নিয়ে গুরুতর ভুল তথ্য প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে শেয়ারে বিনিয়োগটি ইক্যুইটেবল মার্কেট মূল্যায়নে স্বীকৃত হয়নি। যাতে করে হিসাবে নথিভুক্ত করা সম্পদ ও বিনিয়োগের প্রকৃত অর্থনৈতিক মূল্যের মধ্যে গুরুতর পার্থক্য রয়েছে।

আরও পড়ুন......

ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সে ৮.৩২ কোটি টাকার অতিরিক্ত ম্যানেজমেন্ট ব্যয়

২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা এবং তা পরবর্তী ৯ মাসের কর্মীদের মধ্যে বিতরন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ তা না করে কর্মীদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন।

এ বিষয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে জানিয়েছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে আইনটি কার্যকর না করার বিষয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএফআইডি। এছাড়া বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনও আবেদন করেছে। এরপরে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে বীমা খাতে ডব্লিউপিপিএফ করতে হবে না, এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬১.৯৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানিটির রবিবার (১২ মে) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৫০.৮০ টাকায়।