ঢাকা, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এখনো পদত্যাগ করেনি তল্পিবাহক পরিচালকেরা 

২০২৪ আগস্ট ১৮ ০৯:৪৯:৫২
এখনো পদত্যাগ করেনি তল্পিবাহক পরিচালকেরা 

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : গত কয়েক বছরে শেয়ারবাজারে অনিয়মই ছিল নিয়ম। যেখানে স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে শুরু করে মধ্যস্থতাকারী প্রতিস্ঠানগুলো কেউই তাদের কথা বলতে পারেননি। এ সুযোগে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জসহ সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল), ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) ও সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশে (সিসিবিএল) নিয়োগ দেওয়া হয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তল্পিবাহক ব্যক্তিদেরকে। যারা স্বাধীন হিসেবে নিয়োগ পেলেও স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য স্বাধীন ছিলেন না। ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার ও বিএসইসির হুকুম কায়েম করাই ছিল যাদের কাজ। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে বিএসইসিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এরইমধ্যে ৩ জন চেয়ারম্যান-কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু এখনো ওইসব প্রতিস্ঠান থেকে পদত্যাগ করেননি স্বাধীন ও প্রতিনিধি (নমিনি) হিসেবে নিয়োগ পাওয়া তল্পিবাহক পরিচালকেরা। যারা এখনো মানসম্মান বজায় রেখে পদত্যাগে অনিচ্ছুক। তাই যতক্ষন পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য করা না হবে, ততক্ষন দাঁত কামড় দিয়ে থাকার চেষ্টায়।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) নেতাদের দাবি, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে আওয়ামীলীগ বিবেচনায় অধিকাংশ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যাদেরকে স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য না, বিএসইসির জন্যই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ওইসব স্বতন্ত্র নামধারী পরিচালকেরা ডিএসইর খবর বিএসইসিতে পাঁচার করতো।

এ অবস্থায় গত ১২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ডিএসইর পর্ষদেও পরিবর্তন আনতে হবে। বিশেষ করে যাদেরকে রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরমধ‍্যে ডিএসই চেয়ারম্যানের দ্রুত পদত‍্যাগ চান তিনি।

তিনি বলেন, ডিএসই, সিএসইসহ সিডিবিএল, সিএমএসএফ ও সিসিবিএল-এর পর্ষদে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এমন ব্যক্তিদের এখনো উপস্থিতি রয়েছে। তাদের অনভিজ্ঞতা ও অদূরদর্শীতা প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। আমরা দাবী জানাই, রাজনৈতিক বিবেচনায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের সরিয়ে যোগ্য এবং অভিজ্ঞ পেশাদার ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরায় সংগঠিত করা হোক।

এরপরেও পদত্যাগ করেননি ওইসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালকেরা। এখনো অপেক্ষায় বড় চাপের। অন্যথায় নিজেদের সম্মান বজায় রেখে যাবে না।

আরও পড়ুন.....

বিএসইসিতে এখনো শেখ হাসিনা সরকারের দুই কমিশনার

ডিএসইর শীর্ষস্থানীয় এক ট্রেকহোল্ডার অর্থ বাণিজ্যকে বলেন, ডিবিএর সংবাদ সম্মেলনে এরইমধ্যে অযোগ্য ও আওয়ামীলীগ বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া পরিচালকদের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। ভালোভাবে বলার পরেও যদি কেউ পদত্যাগ না করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কিছু করার থাকবে না। ওইসব নামধারী পরিচালকদের টেনে নামানো হবে। তারপরেও প্রতিষ্ঠানগুলোকে দূষণ মুক্ত করে হারিয়ে যাওয়া কাঠামোতে ফিরিয়ে আনা হবে।

দেশের শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আওয়ামীলীগ বিবেচনায় ডিএসইতে অধ্যাপক হাফিজ মো. হাসান বাবু, সিএসইতে আসিফ ইব্রাহিম, সিডিবিএলে শেখ কবির হোসাইন ও সিএমএসএফে মো. নজিবুর রহমানরা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়াও ওইসব প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা পর্ষদে আরও অনেক অযোগ্য ব্যক্তি বসে রয়েছেন। যাদের কাজ ধান্দা করে কামানো এবং বিএসইসির ফরমায়েশ পালন করা।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে