ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ডিএসইতে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগে আইনের পরিপালন নিয়ে বিতর্ক

২০২৪ সেপ্টেম্বর ০৪ ০৯:৩০:৪৯
ডিএসইতে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগে আইনের পরিপালন নিয়ে বিতর্ক

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) স্বাধীন পরিচালক নিয়োগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইন পরিপালন করেনি বলে বিতর্ক উঠেছে। রবিবার (০১ সেপ্টেম্বর) ডিএসইতে নিয়োগ দেওয়া ৭ জন স্বাধীন পরিচালকের মধ্যে অন্তত্ব ২ জনের নিয়োগ নিয়ে এই বিতর্ক উঠেছে।

ডিএসইর চেয়ারম্যান করতে চাওয়া কে এ এম মাজেদুর রহমান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডক্টর নাহিদ হোসেনকে নিয়োগে আইনের ব্যত্যয় হয়েছে বলে বিতর্ক উঠেছে।

ডিএসই রেগুলেশন, ২০১৩ এর ৫ ধারার ‘এফ’ উপধারায় বলা আছে, স্টক এক্সচেঞ্জের কোন ট্রেকহোল্ডার বা শেয়ারহোল্ডারের সঙ্গে সর্ম্পৃক্ত আছে বা ছিল, এমন কেউ ডিএসইর স্বাধীন পরিচালক হতে পারবেন না। এছাড়া ‘জি’ উপধারায় বলা হয়েছে, শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী কোন প্রতিষ্ঠানে (মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিসহ) সর্বশেষ ৩ বছরের মধ্যে কর্মী বা পরিচালক হিসেবে জড়িত থাকা কেউ স্বাধীন পরিচালক হতে পারবেন না। এছাড়া (জে) উপধারায় বলা হয়েছে, কোন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মী ডিএসইর স্বাধীন পরিচালক হতে পারবেন না।

আরও পড়ুন...

স্বাধীন পরিচালক নিয়োগে স্বাধীনতা নেই ডিএসইর

এমনকি ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কীমের ৪.২ এর (ই) এর ৬-এ বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জের কোন ট্রেকহোল্ডার বা শেয়ারহোল্ডারের সঙ্গে সর্ম্পৃক্ত আছে বা ছিল, এমন কেউ ডিএসইর স্বাধীন পরিচালক হতে পারবেন না। ৭-এ বলা হয়েছে, শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী কোন প্রতিষ্ঠানে (মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিসহ) সর্বশেষ ৩ বছরের মধ্যে কর্মী বা পরিচালক হিসেবে জড়িত থাকা কেউ স্বাধীন পরিচালক হতে পারবেন। এছাড়া ১০-এ বলা হয়েছে, কোন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মী ডিএসইর স্বাধীন পরিচালক হতে পারবেন না।

এমন বিধান থাকার পরেও কে এ এম মাজেদুর রহমান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডক্টর নাহিদ হোসেনকে স্বাধীন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিএসইসি।যেখানে মাজেদুর রহমান সর্বশেষ ৩ বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ও ডিএসইর ট্রেকহোল্ডার একে খান সিকিউরিটিজ ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজে জড়িত ছিলেন। এরমধ্যে তিনি একে খান সিকিউরিটিজে পরিচালক হিসেবে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিলেন।

আর বিএসইসি যে মন্ত্রণালয়ের অধীনে, সেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে কর্মরত রয়েছেন অতিরিক্ত সচিব ডক্টর নাহিদ হোসেন। যদিও বিএসইসি একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান বলা হয়। কিন্তু দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অর্থমন্ত্রণালয় বিএসইসির যেকোন বিষয়েই হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং অতিতে করেছে।

এসব বিষয়ে বিএসইসির পরিচালক ও মূখপাত্র ফারহানা ফারুকী অর্থ বাণিজ্যকে বলেন, কমিশন দেখে শুনে ডিএসইর সব স্বতন্ত্র পরিচালককে নিয়োগ দিয়েছে। এই নিয়োগে কোনো আইনের ব্যত্যয় ও স্বার্থের সংঘাত (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) হয়েছে বলে কমিশন মনে করে না।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে