ঢাকা, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১

৩৩ কোম্পানি নিয়ে তদন্ত ও ৬০ বিও জব্দ

মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের জরিমানা ৪৩১ কোটি টাকা : বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ৩৭ হাজার কোটি

২০২৪ অক্টোবর ০৩ ০৯:১৮:১১
মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের জরিমানা ৪৩১ কোটি টাকা : বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ৩৭ হাজার কোটি

ইব্রাহিম হোসাইন (রেজোয়ান) : সরকারের পতনের পরে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে। এর মাধ্যমে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শাস্তি দেওয়ার মধ্যে কমিশনকে ব্যস্ত রেখেছেন। যারা দেড় মাসে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪৩১ কোটি টাকার জরিমানা করেছে। তবে এই জরিমানা বাজারের মন্দাবস্থায় বা অসময়ে করার জেরে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ হারাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। এরইমধ্যে মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের দেড় মাসে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ৩৭ হাজার কোটি টাকা।

খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বিএসইসির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শেয়ারবাজারে মন্দা ও অনাস্থা। তার নেতৃত্বে শেয়ারবাজার ভালো হওয়ার কোন সুযোগ দেখছেন না সাধারন বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে অন্যসব স্টেকহোল্ডাররা। বরং রাশেদ মাকসুদের যোগ্যতা নিয়ে এরইমধ্যে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মানববন্ধন করে পদত্যাগের দাবি তোলা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরে ১০ আগস্ট বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম পদত্যাগ করেন। এর ২দিন পরে ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেন কমিশনার অধ্যাপক ড.শামসুদ্দিন আহমেদ ও ড. রুমানা ইসলাম। এরপরে গত ১৮ আগস্ট খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে চেয়ারম্যান এবং ২৮ আগস্ট মো. আলী আকবরকে ও ৩ সেপ্টেম্বর ফারজানা লালারুখ বিএসইসির কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এই কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার দেড় মাসে ২৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ৬০টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দ, পুরাতন ইস্যুতে ২৭ কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে প্রেরণ, ৯ কোম্পানির আইপিও/আরপিও ফান্ড ব্যবহার নিয়ে তদন্ত, ২৪ কোম্পানির অনিয়ম ও দর বৃদ্ধি নিয়ে তদন্ত এবং সালমান এফ রহমান-এসআলম ও তাদের পরিবার মালিকানাধীন কোম্পানি নিয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শেয়ারবাজারের মন্দায় কমিশনের এমন সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি বিনিয়োগকারীরা। যার ফলাফল নতুন কমিশনের নিয়োগের দিন থেকে বুধবার (০২ অক্টোবর) পর্যন্ত ডিএসইর ডিএসইএক্স মূল্যসূচক কমেছে ৪৫০ পয়েন্ট। এতে করে বাজার মূলধন কমেছে বা বিনিয়োগকারীরা তাদের ৩৬ হাজার ৯১৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ হারিয়েছে।

এই অবস্থায় রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হয়েছে বিনিয়োগকারীরা। বুধবার (০২ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলে কয়েকটি ব্যানারে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করে বিনিয়োগকারীরা। যারা সবাই বিএসইসি চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে তুলেছেন। এসময় বিএসইসি চেয়ারম্যানকে আওয়ামী লীগের দালাল ও শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা আখ্যা দিয়েছে আন্দোলনরত বিনিয়োগকারী। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের মতো বাজে ব্যাংক থেকে চাকুরিচ্যুত হওয়া রাশেদের বিএসইসি চালানোর মতো যোগ্যতা নেই বলে দাবি করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

মানববন্ধনে বিনিয়োগকারীরা বলেন, একজন অসুস্থ মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হয় না। সুস্থ করে তারপরে দেওয়া হয়। একইরকম অবস্থায় শেয়ারবাজার। এই বাজার রয়েছে আইসিউতে। সেখানে পরিচর্যা বা চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলতে হবে আগে। কিন্তু রাশেদের নেতৃত্বাধীন কমিশন আইসিইউ থাকার মধ্যেই শেয়ারবাজারকে চিকিৎসার পরিবর্তে শাস্তি দিয়ে আরও অসুস্থ করে তুলছে।

এসব বিষয়ে জানতে বিএসইসির পরিচালক ও মূখপাত্র ফারহানা ফারুকীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি ছুটিতে থাকায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

দেখা গেছে, গত দেড় মাসে রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন ২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ৪৩১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। ৪টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে এমনটি করা হয়েছে।

কারসাজির প্রতিষ্ঠানের নাম

কারসাজিতে দোষী

জরিমানার পরিমাণ

বেক্সিমকো

৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

৪২৮.৫২ কোটি

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স

৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে

১.৬৩ কোটি টাকা

হামি ইন্ডাস্ট্রিজ

হাসিব হাসান

১ কোটি টাকা

কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্স

৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

২০ লাখ টাকা

মোট

২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

৪৩১.৩৫ কোটি টাকা

আইপিও/আরপিও ফান্ড ব্যবহার নিয়ে ৯ কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি :

আর্থিক জরিমানার বাহিরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বা পূণরায় গণপ্রস্তাবের (আরপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা ৯ কোম্পানির ওই ফান্ড ব্যবহারের বিষয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, জেএমআই হসপিটাল, লুব-রেফ বাংলাদেশ, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, রিং সাইন টেক্সটাইলস, সিকদার ইন্স্যুরেন্স ও সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস।

যত ব্যক্তি ও কোম্পানি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন :

এই কমিশন রহিমা ফুড, ইসলামী ব্যাংক, তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রীম, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, সিডব্লিউটি প্রাইভেট ইক্যুইটি লিমিটেডের পরিচালিত ৪টি ফান্ড, মার্চেন্ট ব্যাংক স্ট্র্যাটেজিক ফিন্যান্স লিমিটেড, অ্যাসেট ম্যানেজার প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ও ইনভেস্টএশিয়া ক্যাপিটাল অ্যান্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ও ট্রাস্টি সেন্টিনেল ট্রাস্টি অ্যান্ড কাস্টডিয়াল সার্ভিসেস নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

অন্যদিকে বিএসইসির বিশেষ তদন্ত কমিটিকে প্রাথমকিভাবে বেক্সিমকোর সুকুক বন্ডসহ ১২ কোম্পানির বিষয়ে তদন্ত করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কোম্পানিগুলো হলো- বেক্সিমকো গ্রীন-সুকুক আল ইসতিসনা , আইএফআইসি গ্র্যান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রীন জিরো কূপন বন্ড, সিএসই এর স্ট্যাটেজিক পার্টনার বা কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এবিজি লিমিটেড, বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড, আল-আমিন কেমিক্যাল, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড, ফরচুন সুজ লিমিটেড, রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেড, একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেড, কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড (পূর্বে পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালারস লিমিটেড), কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও এমারেল্ড ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ।

এছাড়া সালমান এফ রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান এবং এসআলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী, মেয়ের স্বামী, আত্মীয়সহ তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান সমূহের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বিশদ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।

শেয়ারবাজারের মন্দায় ২৭ কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে প্রেরণ :

শেয়ারবাজারে মন্দার মধ্যে গত ২৬ সেপ্টেম্বর হুট করে তালিকাভুক্ত ২৭ কোম্পানিকে সর্বনিম্ন ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবনমন করানো হয়। যে কোম্পানিগুলো ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ছিল। এতে করে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

কোম্পানিগুলো হচ্ছে- অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, ইন্দোবাংলা ফার্মা, বিচ হ্যাচারি, দেশ গার্মেন্টস, এডভেন্ট ফার্মা, খুলনা পাওয়ার, প্যাসিফিক ড্যানিমস, ফরচুন সুজ, এনার্জিপ্যাক, ভিএফএস থ্রেডস ডাইং, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকে ট্রিমস, লুব-রেফ বিডি, লিবরা ইনফিউশন, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ন্যাশনাল টিউবস, ন্যাশনাল ব্যাংক, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, জিএসপি ফাইন্যান্স, ফার কেমিক্যাল, সেন্ট্রাল ফার্মা, বিডি থাই, বে লিজিং, এটলাস বাংলাদেশ এবং আনলিমা ইয়ার্ন।

যত বিও হিসাব জব্দ :

শেয়ারবাজারে বড় পোর্টফোলিও পরিচালনা করা ব্যক্তিদের বিও হিসাব জব্দ করেছে রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। এক্ষেত্রে প্রায় ৬০টি বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এতে করে বাজারে গতি কমে এসেছে।

বিএসইসির নতুন কমিশন সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম ও তাঁর ছেলে জুহায়ের সারার ইসলাম এবং শেয়ারবাজারের আলোচিত কারসাজিকারক মো. আবুল খায়ের ও তার পরিবারের সদস্যদেরসহ ১১ ব্যক্তির বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব স্থগিত করেছে।

একইদিনে বিও হিসাব স্থগিতের তালিকায় আরও রয়েছেন- বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম, আবুল খায়ের হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, তার পরিবারের সদস্য আবুল কামাল মাতবর, কনিকা আফরোজ ও সাজেদ মাতবর, জাবেদ এ মতিন এবং সিডব্লিটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির মনিজা চৌধুরী।

এদিকে স্বৈরচার আওয়ামীলীগ সরকারের ৬ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য (এমপি) এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বেনিফিসিয়িারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দ করেছে বিএসইসি। এক্ষেত্রে মোট ২০ জনের বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

বিও হিসাব জব্দ করার তালিকায় সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ। এদের পরিবারের সদস্যদেরও বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজ কর্তৃপক্ষকেও শাস্তির আওতায় এনেছে মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। এক্ষেত্রে ৪ ব্রোকারেজ হাউজ মশিউর সিকিউরিটিজ, ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, সিনহা সিকিউরিটিজ ও পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। একইসঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর পরিচালকদের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন বন্ধ এবং সকল বিও হিসাব অবরুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিও জব্দের তালিকায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জা এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের ১০টি বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

এছাড়া এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী, দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে ইফতিমা রহমান মাধুরী, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত, প্রথম স্ত্রীর মেয়ে ফারজানা রহমান (ইপসিতা), প্রথম স্ত্রীর ছেলে আহাম্মেদ তৌফিকুর রহমান এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইরফানুর রহমান ইরফানের মোট ৮টি বিও হিসাব স্থগিত করা করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে