ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

সরকার পতনের পরে বাজারে রেকর্ড উত্থান হচ্ছিল

আওয়ামী ১৫ বছরের কারসাজির জন্য শেয়ারবাজারে মন্দা : অর্থ মন্ত্রণালয়

২০২৪ অক্টোবর ২১ ০৮:৫৪:৪৬
আওয়ামী ১৫ বছরের কারসাজির জন্য শেয়ারবাজারে মন্দা : অর্থ মন্ত্রণালয়

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে চলমান ভয়াবহ মন্দার কারন হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে শেয়ারবাজারে অবাধ লুটতরাজ ও কারসাজিকে কারন হিসেবে উল্লেখ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অথচ আওয়ামী সরকার পতনের পরে বিনিয়োগকারীরা অনেক খুশি হয়েছিল। যে কারনে সরকার পতনের পরে ৪ কার্যদিবসেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক বেড়েছিল ৭৮৭ পয়েন্ট। এরপরে সূচকটির পতন শুরু হয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের নিয়োগকে কেন্দ্র করে।

শুরুতে মাশরুর রিয়াজের নিয়োগ কেন্দ্র করে বিএসইসিতে অন্তকলহ শুরু হয়। যিনি নিজেই সরে যাওয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে নিয়োগ দেয়। যার পর থেকেই শেয়ারবাজারে চলছে ভয়াবহ মন্দা। এর কারন হিসেবে বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে সব মহলেই খন্দকার রাশেদ মাকসুদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।

রবিবারের (২০ অক্টোবর) শেয়ারবাজারে বড় দরপতনের পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শেয়ারবাজার নিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে পুঁজিবাজারে অবাধ লুটতরাজ হয়েছে। এ সময়ে অসংখ্য দুর্বল ও অস্তিত্বহীন কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এসব কোম্পানি এখন বাজারের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লাগামহীন কারসাজির মাধ্যমে দুর্বল মৌলভিত্তি ও জাঙ্ক কোম্পানির শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোরপ্রাইস আরোপ, সার্কিট ব্রেকারের সীমা পরিবর্তনসহ নানা ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে বাজারের প্রকৃত অবস্থা ঢেকে রাখা হয়েছিল। এখন কৃত্রিম চেষ্টা না থাকায় অনিয়ম, কারসাজির অনিবার্য পরিণতি স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

এ অবস্থা থেকে বাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি, সুশাসন নিশ্চিতে বিএসইসি ও সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয় বিবৃতিতে। অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, বাজার অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাজারের সমস্যা ও করণীয় নির্ধারণে কাজ করছে বিএসইসি। পাশাপাশি ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে বড় বড় শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করছে সংস্থাটি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শেয়ারবাজারের আকার ও বিনিয়োগের সুযোগ বাড়াতে সরকারি কোম্পানি তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হলে বাজারের গভীরতা যেমন বাড়বে, তেমনি কোম্পানিগুলোর মূলধন ভিত্তিও শক্তিশালী হবে। আর এসব পদক্ষেপের সুফল পাবেন বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। অতীতের দুরবস্থা ও কেলেঙ্কারির মাধ্যমে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সরকার তাঁদের বিষয়টি বিবেচনা করে সুবিধা প্রদান করবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে