ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

প্রিমিয়ামে বড় অর্থ সংগ্রহ করা রিজেন্টের কারখানা বন্ধ

২০২৩ সেপ্টেম্বর ২৬ ১৫:৪৫:৫৬
প্রিমিয়ামে বড় অর্থ সংগ্রহ করা রিজেন্টের কারখানা বন্ধ

ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে শেয়ারবাজার থেকে প্রিমিয়ামসহ ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে রিজেন্ট টেক্সটাইল। যা ব্যবহারের জন্য কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়। অবশেষে সেই অর্থ ব্যবহারের পরে লোকসানে নামে কোম্পানিটি। অথচ মুনাফা বাড়াটা ছিল স্বাভাবিক। সেই কোম্পানির কারখানাই এখন বন্ধ।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর ডিএসইর একটি দল রিজেন্ট টেক্সটাইলের কারখানা পরিদর্শনে যায়। তারা সেখানে গিয়ে কোম্পানির কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ দেখতে পায়।

আরও পড়ুন...

অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে অ্যাগ্রো অর্গানিকার কোটি কোটি টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার

অথচ রিজেন্ট টেক্সটাইল আইপিওতে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্রতিটি শেয়ার ২৫ টাকা (১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ) দরে ইস্যুর মাধ্যমে ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। যা ব্যবহারের জন্য ১৭ মাস বা ২০১৭ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত সময়সীমা ছিল। কিন্তু ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষেও ৪৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা বা ৩৬ শতাংশ অব্যবহৃত থাকে। যা ব্যবহারের জন্য কয়েক দফা সময় বাড়ানোর পরে ২০২০ সালের নভেম্বরে শেষ হয়।

এতে করে কোম্পানির ব্যবসা বড় এবং মুনাফা হওয়াটা স্বাভাবিক হলেও ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে লোকসান গুণছে। ব্যবসায় এই পতনের কারনে কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রাপ্তি বন্ধ।

এই কোম্পানিটিকে শেয়ারবাজারে আনতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস।

১২৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের রিজেন্ট টেক্সটাইলের মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) লেনদেন শেষে ২৫ টাকা ইস্যু মূল্যের শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৯.৮০ টাকায়।

এই অস্তিত্ব সংকটে পড়া রিজেন্ট টেক্সটাইল থেকেই সহযোগি/সিস্টার কনসার্ন কোম্পানি রিজেন্ট ফেব্রিকস, রিজেন্ট ওয়েভিং ও এইচজি এভিয়েশনকে নিয়মিত বিনাসুদে ঋণ প্রদান করা হয়। এ কোম্পানিটি থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন সহযোগি কোম্পানিগুলোতে প্রদত্ত এমন ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।

সহযোগি কোম্পানিগুলোতে বিনাসুদে প্রদত্ত এই অর্থকে আর্থিক হিসাবে ‘ডিউ টু এফিলিয়েটেড কোম্পানিজ’ শিরোনামে দেখানো হয়। অথচ রিজেন্ট টেক্সটাইল ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে নিয়মিত সুদ দিয়ে যাচ্ছে। অনেকটা তালিকাভুক্ত রিজেন্টের জন্য সুদে ঋণ নিয়ে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে বিনাসুদে অর্থ দেওয়া হয়েছে। এতে করে শুধুমাত্র সুদবহন করে যাচ্ছে রিজেন্ট টেক্সটাইল। যার ৪৫.৪৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে সাধারন বিনিয়োগকারীদের হাতে (প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীসহ)। অর্থাৎ উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে দেওয়া ঋণের জন্যও এই ৪৫.৪৫ শতাংশ সাধারন বিনিয়োগকারীকে সুদের ভার বহন করতে হচ্ছে।

অথচ কোম্পানিটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়া রয়েছে। যার জন্য রিজেন্ট টেক্সটাইলের সুদজনিত ব্যয় হয়েছে।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে