ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

টিকে থাকার দুশ্চিন্তায় বাজার মধ্যস্থতাকারীরা, ফুরফুরে বিএসইসি

২০২৪ ডিসেম্বর ২৩ ১৫:০৬:২৮
টিকে থাকার দুশ্চিন্তায় বাজার মধ্যস্থতাকারীরা, ফুরফুরে বিএসইসি

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের মন্দায় বাজার মধ্যস্থতাকারীদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। লোকসানের মধ্য দিয়ে চলতে চলতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ভ্রুক্ষেপ নেই। উল্টো তাদের বিপদ বাড়ানোর জন্য করণীয় সব করে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। একইসঙ্গে ফুরফুরে মেজাজে সময় কাটাচ্ছেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শেয়ারবাজারের প্রাণ বিনিয়োগকারীরা। যারা মূলত এ বাজারের সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে জড়িত। তবে এদের কেউই ভালো নেই খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে। অথচ আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরে ও মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পূণ:গঠনের আগে শেয়ারবাজারে অনেক ভালো হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। যা পরবর্তীতে বিএসইসিতে যোগ্য লোকের অভাবে সম্ভব হয়ে উঠেনি।

শেয়ারবাজারের চলমান মন্দায় বিনিয়োগকারীদের যেমন মাথায় হাত, তার চেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় ব্রোকারেজ হাউজগুলো। লেনদেন খরায় লোকসানে অসংখ্য ব্রোকারেজ হাউজ। আর প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বন্ধ রেখে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর আয়ের পথ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

এরমধ্যেও শেয়ারবাজারে আতঙ্ক তৈরী করতে এবং বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ারবাজার বিমূখ করতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিএসইসি। প্রতিষ্ঠানটির কর্তারা বিনিয়োগকারীদের কথা বিবেচনায় নিচ্ছেন না। তাদেরকে বাজারের চলমান দুরবস্থা থেকে উত্তোরনের কোন ধরনের চেষ্টা করছেন না।

এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন অর্থ বাণিজ্যকে বলেন, আমরা (ব্রোকার) শেষ হয়ে গেছি। টানা লোকসানে অস্তিত্ব না থাকার মতো অবস্থা। এরইমধ্যে অনেক ব্রোকার হাউজে কর্মী ছাটাই করতে হয়েছে। তবে সব কর্মী ছাটাই করেও টিকে থাকা যাবে না, যদি বিদ্যমান লেনদেন খরা চলতে থাকে।

গত কয়েকদিনের ন্যায় সোমবারও (২৩ ডিসেম্বর) দেশের উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেনের খরা দেখা গেছে। আর বাজারও ছিল নেতিবাচক।

এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫১৭১ পয়েন্টে। যা আগেরদিন কমেছিল ২৫ পয়েন্ট।

সোমবার ডিএসইতে ৩০৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন হয়েছিল ৩১২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বা ৩ শতাংশ।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৬ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৯৯ টি বা ২৫ শতাংশের। আর দর কমেছে ২১৬ টি বা ৫৪.৫৫ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৮১ টি বা ২০.৪৫ শতাংশের।

অপরদিকে সিএসইতে রবিবার ১২৪ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২০২ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৫৪ টির, কমেছে ১১১ টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩৭ টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪৪৫৫ পয়েন্টে।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে