ঢাকা, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১

দুই হাজার কোটি টাকা চলে গেছে ঋণ পরিশোধে- আবু আহমেদ

২০২৫ জানুয়ারি ০৭ ২২:০৫:৩৯
দুই হাজার কোটি টাকা চলে গেছে ঋণ পরিশোধে- আবু আহমেদ

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বলেন, আমি নমনীয়ভাবে অর্থ উপদেষ্টাকে আইসিবি’র অবস্থান তুলে ধরেছিলাম। তাকে বলেছিলাম আইসিবিকে যদি বাঁচাতে হয়, তবে কিছু টাকা দেন। একটি ওয়ার্ক প্ল্যানের মাধ্যমে আইসিবিকে ৩ হাজার কোটি টাকা দেয়া হলো। কিন্তু এর মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ১ হাজার কোটি টাকা থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছি। আমরা শুধুমাত্র বেস্ট অব দি বেস্ট শেয়ার কিনছি এবং এটি আলাদা বিও একাউন্টে কেনা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) নিকুজ্ঞে ডিএসই টাওয়ারে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও উন্নয়নের রোডম্যাপ বিষয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এতে উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন৷ বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ৷

গোলটেবিল বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন ডিএসই’র চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম৷ এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনারবৃন্দ, বাংলাদেশ ব্যাংক, ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড, ডিএসই ব্রোকারস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি’র শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ।

আবু আহমেদ বলেন, আইসিবি একটি সরকারি ইনভেস্টমেন্ট প্রতিষ্ঠান। এটির একটি জবাবদিহিতা থাকা উচিত। ১৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠানটি অনেক রিসোর্সফুল ছিল। কিন্তু এটি কেন দুর্বল হলো তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আইসবির ৯,৬০০ কোটি টাকার উপরে ঋণ আছে, সেগুলো আইসিবি বন্ড ইস্যু করেছে অথবা সরকারের বিভিন্ন খাত ঋণ নিয়েছে।

আরও পড়ুন....

এনআরবিসি ব্যাংক লুটেরাদের সহযোগী ছিলেন রাশেদ মাকসুদ : তদন্তে দুদক

আইসিবি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের বাজারে সাপ্লাই বাড়াতে হবে, কোয়ালিটি সম্পন্ন শেয়ার আনতে হবে। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। তাদেরকে ঠিক মতো এপ্রোচ করলে আশা করি তারা তালিকাভুক্ত হবে।

অনুষ্ঠানে ভিআইপিবি এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিইও শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনগুলোকে বিশ্বাস করা যায় না। যে কারণে সরকার ট্যাক্স পায় না, সে কারণে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন হয় না। আমাদের রেগুলেটরদের যে কাজ করা প্রয়োজন সেগুলো করা হয়নি। রেগুলেটরদের তাদের নির্ধারিত কাজ করতে হবে, এতে মার্কেট কি হবে এটি দেখার বিষয় নয়। এ কাজগুলো করা হয়নি বলে আজ এ অবস্থা। আজকে সঠিক কাজ অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন নিয়ে কয়েকবছর পর বাজার ভাল হবে। আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর যেসব ভুল হয়েছে সেগুলো সংশোধন করতে হবে।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে