ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১

বিএসইসি চেয়ারম্যানের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

২০২৫ জানুয়ারি ০৯ ০৯:৩০:৪৩
বিএসইসি চেয়ারম্যানের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

অর্থ বাণিজ্য ডটকমে গত ৭ জানুয়ারি‘এনআরবিসি ব্যাংক লুটেরাদের সহযোগী ছিলেন রাশেদ মাকসুদ: তদন্তে দুদক' শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। রিপোর্ট তথ্য প্রমাণবিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন রাশেদ মাকসুদ। তবে তার এ দাবি সঠিক না। এ রিপোর্টে প্রকাশিত সব তথ্যের প্রমাণাদি অর্থ বাণিজ্যের কাছে রয়েছে।

প্রতিবাদলিপি : এতে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদ প্রতিবেদনে বিএসইসি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর। সর্বোপরি, সংবাদ প্রতিবদেনটি ব্যক্তিগতভাবে আক্রমনাত্মক। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন তথ্য-প্রমান বিহীন ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এই ধরণের প্রতিবেদনের মাধ্যমেতার সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে।

প্রতিবাদে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিবেদনে উল্লেখিত ২৬৪ কোটি টাকার ঋণটি মূলত কয়েকটি ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত হয়েছে, যেখানে এনআরবিসি ব্যাংক শুধুমাত্র ২৫ কোটি টাকা ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে অর্থায়ন করেছে। কিন্তু প্রতিবেদনে ঋণটির এ ধরণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ না করে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, প্রতিবেদনটি সঠিক ও তথ্যবহুল নয়। খন্দকার মাকসুদের দায়িত্বকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ঋণ অনুমোদন ও ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইন/প্রবিধাণ/ নির্দেশনা অনুসরণ ও ব্যাংকের বিধিবিধান অনুসরণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখিত অভিযোগগুলো কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নয় বলে প্রতিবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবাদে বলা হয়েছে, এটি স্পষ্ট যে, ব্যক্তিগত আক্রোশ বা সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানে পদে দায়িত্ব গ্রহণ ও কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে তাকে সামাজিক ও পেশাগতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ফলে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ধরণের সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে আরো বেশি সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ করছি।

প্রতিবেদকের বক্তব্য : এনআরবিসি ব্যাংকের অনিয়ম নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দুদকের চিঠির বিষয়ে কোন তথ্য গোপন করা হয়নি। ওই চিঠিতে যা আছে, অনেকাংশে তাই হুবুহু তুলে ধরা হয়েছে। যে চিঠিতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের দাবিকৃত এনআরবিসি ব্যাংকের শুধুমাত্র ২৫ কোটি টাকা ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে অর্থায়ন করার কোন তথ্য নেই। ফলে রিপোর্টে কোন ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।আর তার বক্তব্য অনুযায়ি দুদকের এনআরবিসি ব্যাংকের ঋণ নিয়ে অনিয়মের তদন্তের সত্যতা উঠে এসেছে। সেটা খন্দকার মাকসুদের দাবি অনুযায়ি টাকার পরিমাণ কম হলেও।

এছাড়া তদন্তের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী টিমের প্রধান মো. আতিকুল আলম বলেছেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে।

এদিকে প্রকাশিত সংবাদে এনআরবিসি ব্যাংকে থাকাকালীন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ তমাল-আরজু-আদনানদের যে সহযোগিতা করেছেন এবং তাদের অনিয়মে কোন বাঁধা দেননি, সে বিষয়ে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কোন বিষয়ে প্রশ্ন তুলেননি। আওয়ামী কায়দায় এক কথায় সব দোষ অন্যের কাঁধে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যা আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় সব দোষ এক কথায় বিএনপি-জামায়াত করেছে বা স্বাধীনতা বিরোধীরা করেছে বলে যেভাবে দায় এড়ানোর চেষ্টা করা হতো, অনেকটা সেরকম করেছেন খন্দকার মাকসুদ।

প্রকাশিত সংবাদে ব্যাংকের ঋণ ও তমাল-আরজু-আদনানদের যে অনৈতিক ও অন্যায়ভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তার স্বপক্ষে সব ধরনের প্রমাণাদি অর্থ বাণিজ্যের কাছে রয়েছে।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে