ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

নানার কাছে তনুশ্রীর পরাজয়

২০২৫ মার্চ ০৮ ১৪:০৯:৪৭
নানার কাছে তনুশ্রীর পরাজয়

বিনোদন ডেস্ক : ২০১৮ সালে তনুশ্রী নানার বিরুদ্ধে ‘মি টু’ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির সেটে নানা ছাড়াও আরও তিন জনের বিরুদ্ধে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ ছিল তাঁর প্রতি। শুক্রবার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (আন্ধেরি) এনভি বনশল জানান, অভিযোগের সময়সীমা অতিক্রান্ত। তনুশ্রীর অভিযোগ তাই খারিজ।

২০০৮ সালের ২৩ মার্চ ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার জন্য ২০১৮ সালে এফআইআর দায়ের করেন তনুশ্রী। বিষয়টি জাতীয় স্তরে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। সেই অভিযোগের কারণে সেই সময় তনুশ্রী প্রায় প্রতি দিন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে ছিলেন। ২০১৯-এ পুলিশ মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তথ্য পেশ করে জানায়, তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের আরও দাবি, তনুশ্রীর এফআইআর সম্পূর্ণ মিথ্যা। আইনি পরিভাষায় এই ধরনের অভিযোগকে ‘বি-সামারি’ বলা হয়। তনুশ্রীও আদালতে তাঁর অভিযোগকে মিথ্যা এবং ‘বি-সামারি’ তকমা দেওয়ার পাল্টা প্রতিবাদ জানান। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদনও করেন।

শুক্রবার তনুশ্রীর সেই আবেদন নাকচ করার প্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আরও জানান, আইনের চোখে একটি ঘটনার ১০ বছর পরে অভিযোগ দায়েরের সারবত্তা নেই। তনুশ্রী ২০০৮ সালে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১৮-য় ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৫৪ এবং ৫০৯-এ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি কর্মপদ্ধতির (সিআরপিসি) নিয়ম অনুসারে তিন বছরের সময়সীমা রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের মতে, সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার নেপথ্য কারণ, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি। তার পরেও সাত বছর পেরিয়ে গেছে। প্রশাসনের তরফ থেকে বিলম্বের নির্দিষ্ট কারণ জানানো হয়নি। এই মামলা চালানো বা ধরে রাখা তাই নিরর্থক।

রায়ে আদালতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, অকারণ এই দীর্ঘসূত্রিতাকে যদি ক্ষমা করে দেওয়া হয়, তাহলে আইন লঙ্ঘন করা হবে। তাই তনুশ্রীর দায়ের করা মামলা খারিজ।

পাঠকের মতামত:

বিনোদন এর সর্বশেষ খবর

বিনোদন - এর সব খবর



রে