ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

বিনিয়োগকারীদের রক্তক্ষরণ : মাকসুদ কমিশনের অপসারনে বিএনপির এগিয়ে আসা দরকার

২০২৫ এপ্রিল ২৪ ১৪:৪৭:১১
বিনিয়োগকারীদের রক্তক্ষরণ : মাকসুদ কমিশনের অপসারনে বিএনপির এগিয়ে আসা দরকার

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : এই মুহুর্তে শেয়ারবাজারের রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অপসারন সবচেয়ে বেশি দরকার। তবে অর্থ উপদেষ্টা লাখ লাখ বিনিয়োগকারীদের ভাগ্য নিয়ে খেলা করা এই অযোগ্য নেতৃত্বকে অপসারন করতে চাইছে না। এছাড়া কোন রাজনৈতিক দলও বিনিয়োগকারীদের পাশে এসে দাড়াচ্ছে না। বিশেষ করে বিএনপির মতো বৃহৎ রাজনৈতিক দল ব্যস্ত ভোট কবে হবে তা নিয়ে, তারা লাখ লাখ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে মাকসুদ কমিশনের অপসারনে কোন আওয়াজ তুলছে না।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান কমিশনের উপর কারোরই আস্থা নেই। এই কমিশন শেয়ারবাজারের কিছুই বুঝে না। এখন কেউই রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে চাচ্ছেন না। যাদের পদত্যাগে শেয়ারবাজারে ঘুরে দাড়ানো সম্ভব। এসব কিছু মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন জানেও। তারপরেও তারা নির্লজ্জভাবে চেয়ার আকড়ে ধরে রেখেছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অপসারনে আওয়াজ তোলা।

তাদের মতে, রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু এখনো বিনিয়োগকারীদের দিকে নিজে থেকে এগিয়ে আসেনি, তাই বিনিয়োগকারীদেরই উচিত হবে তাদের কাছে যাওয়া। যাতে তারা বিনিয়োগকারীদের পক্ষে কথা বলেন।

দেশের শেয়ারবাজার গত ৯ কার্যদিবস ধরে পতনে রয়েছে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯৭৩ পয়েন্টে। যা বুধবার ৪ পয়েন্ট, মঙ্গলবার ১৮ পয়েন্ট, সোমবার ৩০ পয়েন্ট, রবিবার ২৩ পয়েন্ট এবং আগের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ৮ পয়েন্ট, বুধবার ২৬ পয়েন্ট, মঙ্গলবার ৩৮ পয়েন্ট ও সোমবার ৩৬ পয়েন্ট কমেছে। এই ৯ কার্যদিবসে ২৩৩ পয়েন্টের পতনে বিনিয়োগকারী দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

এমন পতনে ডিএসইএক্স সূচকটি ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ২৮ অক্টোবর ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে সূচকটি ছিল। সেটা মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরেই নেমেছিল।

আরও পড়ুন....

ভারতে টানা ৬ কার্যদিবসের উত্থানে সূচক বেড়েছে ৫৭৪৮ পয়েন্ট

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৬৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন হয়েছিল ৩০০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বা ২২ শতাংশ।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৮ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৫২ টি বা ১৩.০৬ শতাংশের। আর দর কমেছে ৩০০ টি বা ৭৫.৩৭ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৪৬ টি বা ১১.৫৫ শতাংশের।

অপরদিকে সিএসইতে বৃহস্পতিবার ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৮ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৫২ টির, কমেছে ১৪০ টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৬ টির।এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৯৭৭ পয়েন্টে।

আগেরদিন সিএসইতে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ৬৩ পয়েন্ট কমেছিল।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে