ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পর্ব ১

শেয়ারবাজারে আসার আগে ২৭ লাখ টাকার কোম্পানি হয়ে গেল ৩৮ কোটি

২০২৩ আগস্ট ২১ ১৪:৩০:৫৭ ২০২৩ আগস্ট ২২ ০৯:০৫:০০
শেয়ারবাজারে আসার আগে ২৭ লাখ টাকার কোম্পানি হয়ে গেল ৩৮ কোটি

অ্যাগ্রো অর্গানিকাও শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের আগে হুট করে কয়েক লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি কয়েক কোটি টাকা হয়ে গেছে। কয়েক বছর ধরে শেয়ারবাজারে আইপিওতে আসার আগেই হঠাৎ করে পরিশোধিত মূলধন এমন বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সমালোচনার মধ্যে রয়েছে। যে বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্নও রয়েছে। যেটার সত্যতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। যে কারনে কোন কোম্পানির অর্থ উত্তোলনের অনুমোদনের আগে এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

অ্যাগ্রো অর্গানিকা শেয়ারবাজারে আসাকে কেন্দ্র করে বোনাস শেয়ারসহ প্লেসমেন্টে দ্রুত পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া রয়েছে বিতর্কিত শেয়ার মানি ডিপোজিটকে শেয়ার রুপান্তর। অ্যাগ্রো অর্গানিকার খসড়া প্রসপেক্টাসের ২১ পৃষ্টা অনুযায়ি, ৩৮.৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের প্রায় পুরোটাই বা ৯৯.৩০ শতাংশ ইস্যু করা হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবছরে। যার প্রায় পুরোটাই শেয়ার মানি ডিপোজিট ও বোনাস শেয়ার থেকে ইস্যু করা হয়েছে।

কয়েক বছর ধরে শেয়ারবাজারে আইপিওতে আসার আগেই হঠাৎ করে পরিশোধিত মূলধন কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সমালোচনার মধ্যে রয়েছে। যে বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্নও রয়েছে। যেটার সত্যতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন বিষয়টিকে গুরুত্বারোপ করে। এ নিয়ে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ভালো আইপিও দিতে গিয়ে কয়েকটি বিষয় যাচাই করি। এরমধ্যে কত সময়ের মধ্যে পরিশোধিত মূলধনের পরিবর্তন হয়েছে, সেটা অন্যতম। অনেক কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসার আগে দ্রুত মূলধন বাড়ায়। যা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।

কিন্তু অ্যাগ্রো অর্গানিকা শেয়ারবাজারে আসাকে কেন্দ্র করে বোনাস শেয়ারসহ প্লেসমেন্টে দ্রুত পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া রয়েছে বিতর্কিত শেয়ার মানি ডিপোজিটকে শেয়ার রুপান্তর।

সম্প্রতি একটি কোম্পানির শেয়ার মানি ডিপোজিট নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। যার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনও আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শেয়ার মানি ডিপোজিটবাবদ কোন অর্থ কোম্পানিতে জমা দেওয়া হয়নি বলে বিএসইসির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। যে কারনে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। সেরকম শেয়ার মানি ডিপোজিট অ্যাগ্রো অর্গানিকাতেও আইপিওতে আসার আগে ছিল। যেগুলোকে আইপিওতে আবেদনের আগে শেয়ারে রুপান্তর করা হয়েছে। যেমনটি করা হয়েছিল ওই বিতর্কিত কোম্পানির ক্ষেত্রেও। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিক্রির টাকা বা অন্যকোন কারনে কোম্পানিতে ঢুকা অর্থকে শেয়ার মানি ডিপোজিট হিসেবে দেখানো হয়েছিল। যার প্রকৃত ঘটনা এখন বেরিয়ে এসেছে।

অ্যাগ্রো অর্গানিকার খসড়া প্রসপেক্টাসের ২১ পৃষ্টা অনুযায়ি, কোম্পানিটির ২০১৯ সালের ৩০ জুন পরিশোধিত মূলধন ছিল ২৭ লাখ টাকার কম। যে কোম্পানিটির শেয়ারবাজারে আসাকে কেন্দ্র করে পরের অর্থবছরে বেড়ে হয়ে যায় ৩৮ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের প্রায় পুরোটাই বা ৯৯.৩০ শতাংশ ইস্যু করা হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবছরে। যার প্রায় পুরোটাই শেয়ার মানি ডিপোজিট ও বোনাস শেয়ার থেকে ইস্যু করা হয়েছে।

বি:দ্র: এর পরের পর্বে অ্যাগ্রো অর্গানিকায় বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্বলতা তুলে ধরা হবে। কোম্পানিটির যেমন ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা নেই, একইভাবে শ্রম আইন, হিসাব মানসহ বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে। এ নিয়ে থাকবে বিস্তারিত তথ্য।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে